কাউকে আমাদের ধমকানোর লাইসেন্স দিইনি : মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু

'আমাদের দেশ ছোট হতে পারে, তবে কাউকে আমাদের ধমকানোর লাইসেন্স দিইনি। এই মহাসাগরটি একটি নির্দিষ্ট দেশের নয়। এই (ভারত) মহাসাগরটিও এখানে অবস্থিত সব দেশের অন্তর্ভুক্ত।’
ভারতকে ইঙ্গিত করে শনিবার (১৩ জানুয়ারি) মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু এসব কথা বলেন। চীনে পাঁচদিনের উচ্চপর্যায়ের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে দেশে ফিরেই ভারতের বিরুদ্ধে আরও কড়া ভাষায় বলেন, ‘আমাদের এই মহাসাগরে বেশকিছু ছোট ছোট দ্বীপ রয়েছে। আমাদের ৯ লাখ বর্গ কিলোমিটারের একটি বিশাল একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল আছে। এই মহাসাগরের সবচেয়ে বড় অংশের দেশগুলোর মধ্যে মালদ্বীপ অন্যতম।’ চীন সফরে মুইজু প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে আলোচনা করেন। তার সফরে দুই দেশ ২০টি চুক্তি স্বাক্ষর করে।
মুইজ্জু বলেন, ‘আমরা কারও বাড়ির উঠানে নেই। আমরা একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র।’
সব সৈন্য সরিয়ে নিতে ভারতকে সময় বেধে দিয়েছে মালদ্বীপ। আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে সব সৈন্য সরাতে নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু।
প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের পাবলিক পলিসি সেক্রেটারি আবদুল্লাহ নাজিম ইব্রাহিম বলেন, ভারতীয় সেনা কর্মকর্তারা মালদ্বীপে অবস্থান করতে পারবেন না। প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু ও তার প্রশাসনের নীতি এটাই। বর্তমানে মালদ্বীপে ৮৮ জন ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা রয়েছেন।
এদিকে ভারত থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে রোববার (১৪ জানুয়ারি) দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের বৈঠক হয়। মালেতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে মালদ্বীপে ভারতীয় হাইকমিশনার মুনু মাহাওয়ার উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
উল্লেখ্য, প্রগতিশীল জোটের ৪৫ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট মো: মুইজ্জুর রয়েছে চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক। তার সময়ে অঞ্চলটিতে চীনের প্রভাব বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ১৯৭৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। স্কুল-কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে যুক্তরাজ্যের লিডস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ২০১২ সালে গৃহায়ন মন্ত্রী হিসেবে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন মুইজ্জু।