ঘুমধুম সীমান্তে ঘুম নেই বাংলাদেশি নাগরিকদের !

ঘুমধুম সীমান্তে ঘুম নেই বাংলাদেশি নাগরিকদের !

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে মিয়ানমার থেকে উড়ে আসা একটি মর্টারশেলের আঘাতে ঘুমধুম এলাকায় ২ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। গত সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা পৌনে ৩টার দিকে ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী আতঙ্কজনক অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে থমথমে অবস্থান বিরাজ করছে। ঘুমধুমসহ আশপাশের এলাকার মানুষের চোখে কার্যত ঘুম নেই। 
খবরে প্রকাশ, মিয়ানমার থেকে উড়ে আসা একটি মর্টারশেল বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের জলপাইতলী গ্রামের ব্যবসায়ী বাদশা মিয়ার বাড়ির রান্না ঘরের ছাদে পড়ে। এতে নিহত হয়েছেন বাদশা মিয়ার স্ত্রী হোসনে আরা বেগম (৫২) এবং এক রোহিঙ্গা শ্রমিক। এছাড়া এক শিশুও আহত হয়েছে মিয়ানমার আসা মর্টারশেলে। 
নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এই অঞ্চলের কেউ কেউ বাড়িঘড় ছাড়তে শুরু করেছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দাগণ জানান, এতদিন মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে যে গুলি ও বোমার শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল গত দুই-তিন দিনে এটি বেড়েছে। মানুষের বাড়িঘড়ের ছাদের উপরে গুলি, মর্টার শেলের খোসা পড়ছে। আতঙ্কিত হয়ে বাড়িঘর ছাড়ছে এলাকাবাসী।সোমবার দুপুরের পর থেকে এসব এলাকার কেউ আর বাড়িতে থাকার সাহস পাচ্ছে না।
বাসিন্দারা মিডিয়াকে আরও বলেন, ঘণ্টাখানেকের মধ্যে দুই-চারটা বোমা এসে পড়তেছে এলাকায়। এই কারণে সবাই বাড়িঘর ছাড়ছে। সীমান্ত এলাকার কয়েকটি গ্রাম এখন প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়েছে বলেও জানান তারা। এলাকা থেকে সব মানুষ পালিয়ে যাচ্ছে। কারণ, অনেক দূর থেকে বোমা এসে পড়ছে। তারা রিমোট কন্ট্রোল সিস্টেমে অনেক ভেতর থেকে বোমা মারতেছে।
স্থানীয়রা জানান, সীমান্তের ওপারে রাইট সাইট ও লেফট সাইট নামে দুটি প্রান্ত রয়েছে। জান্তা বাহিনীর সাথে যুদ্ধের পর রাইট সাইট এখন আরাকান আর্মির দখলে চলে এসেছে সেটা এ পাশ থেকেই অনেকটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। তবে লেফট সাইটে এখনো দুই পক্ষের মধ্যে চরম গোলাগুলি চলছে বলেও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে সীমান্ত এলাকা থেকে।
উল্লেখ্য, আরাকান আর্মির আক্রমণের মুখে এ পর্যন্ত ১০০ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী পুলিশ (বিজিপি) সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদেরকে হেফজতে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ।